Monday, 29 July 2013

na parar mon




আমার না পারাটা , যেন কতখানি পাওয়া। 

        ক্লান্ত শরীর .. যখন কোনমতে  বিছানায় ......
           হাতড়ে বেড়ায় সেই সাদা নরম বালিশ ..... 
      
 আশায় ভরা  মনের তখন, স্বপ্ন রাজ্যে যাওয়া। 


 স্বপ্ন আবার সাদাকালো , যেমন দিনের শেষে। 

       ফসকে যাওয়া ট্রেন এর সময় ..... আর পরিচিত হাসি   ......
           তৃষ্ণা চোখে ফসকে যাওয়া  দশ মিনিটের  দেখা  ....
     
  না পারার  মনটা je তাই  , হারায় অচীন  দেশে। 

            

Saturday, 6 July 2013

polashia " Bokul "


                                                                         ২।

দুপুরে বৃষ্টি ভালো হযেছিল , তাই আজ মোবাইল নেট ছেড়ে বকুল ঘুমোচ্ছিল , হটাত ঘুম ভেঙ্গে যায়

বকুলের , মোবাইল অন করে দ্যাখে প্রায় পাঁচটা , লাফিয়ে বিছানা ত্যাগ করে , ইশশ  আবার

মুটিয়ে যাব যে। তখনও  মেঘলা আকাশ , মৈনাক এখনও ফেরেনি আজ , বাইরেটা বেশ ঠান্ডা ,

 বসার ঘরে জানালা খুলে দিয়ে এক কাপ চা নিয়ে বসে বকুল। এই সময়টা অত্যন্ত প্রিয় ওর কাছে ,

আজ  কিছুটা নস্টালজিক করে দিয়েছে weather . মনে পড়ে যায় পুরনো দিনের কথা।

 কলেজ এর যুগে  সে সময়কার মেয়েদের তুলনায় সাজ পোশাকে অনেক বেশি মডার্ন ছিল , তার

উজ্জ্যল শ্যামবর্ণ রং , কোকড়ানো ঘন কালো চুল ,  ভালো  ফিগার , সুন্দর হাসি  তাকে  আকর্ষনীয়

করে তুলেছিল।

                    বকুল একটু হলেও অন্যদের চেয়ে আলাদাই ছিল , স্ট্রং প্রিন্সিপল বেসড , প্রেম যার

সাথে বিয়ে তাকেই করব। মনে পরে যায় মৈনাকের সাথে প্রথম দেখা , কেমিস্ট্রি tution  এ ,

একটা ভাইটাল ক্লাস মিস করার দরুন স্যার মৈনাক দের ব্যাচ এ আসতে বলে , ক্লাস শুরু হওয়ার

মিনিট পনেরোর পর মৈনাক হাজির হয় ক্লাস এ , স্যার এর বিরক্তি এড়িয়ে মৈনাকের দৃষ্টি আটকে

তার  দিকে ., বকুল অবাক হযে  ভাবে , কেমন ছেলে রে বাবা , ঘেমে নেয়ে , পায়ে কাদা

লাগিয়ে দেরী করে পড়তে এসেছে।

                 এরপরের ঘটনাটা যেন সিনেমার মতন , ক্লাস অফ হলো রাত সাড়ে নটা।

বাবা নিতে না আসাতে স্যার মৈনাক কে ডেকে বলেন ,  "তুমি তো ওই পথ দিয়ে যাবে , বকুল কে

ছেড়ে দেবে " বকুল  অস্বস্থি তে পড়ে যায় , বলে তুই আগে আগে চল। মৈনাক তো চাইছিল

একটু আলাপ করতে , কিন্তূ বকুল কোনো কথা বলেনি , ভাবছিল ছেলেটা যদি কিছু করে ,

চেনে না , জানে না , শুধু মৈনাক বিদায় নেবার আগে বলেছিল " একটা thanks তো আমার

পাওয়া উচিত , একটু হেসে উত্তর ছিল  " Thank You "

                    পরের দেখাতে , মৈনাক কে দারুন লাগছিল দেখতে , একটা অফ white কটন

pant , গোলাপী সাদা রঙের ফুল স্লীভ  tshirt আর দুধ সাদা রঙের sandal পরে হেঁটে যাচ্ছিল

বকুলদের বাড়ির পাশ দিয়ে , বকুল বাইরে দাড়িয়েছিল বিকেল বেলা , দেখা হতেই হাসি বিনিময় ,

কোনো কথা হলো না , মৈনাকের মন  একটু হলেও খারাপ হযেছিল সেদিন। বকুল কে স্মর্ট

লাগছিল , একটা জিন্স এর স্কার্ট আর নীল সাদা টপ পরেছিল।সেটা ছিল সন ৯৪-৯৫, তখন

ওরা higher secondary তে।

                      আজকাল বকুল খুব ব্যস্ত , নিজের ছেলে মেয়ে ঘর সংসার নিয়ে , তবে সময়

বের করে  সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ভালই লাগে তার , এটা হযেছে আজ দু বছর , আগে খুব

conservative mind এর মেয়ে ছিল ,এখন যদি চ্যাট করতে ভালবাসে তো তার জন্য মৈনাক

দায়ী ।

                               ................................x ...............................

Thursday, 4 July 2013

polashia " Mainak Porichity"

                                                                      ১ .

 জীবন , কোনো চলচিত্র , অভিনয় থেকে যে কম কিছু নয় তা বেশ বুঝতে পেরে মনে মনে হাস ছিল

চল্লিশ ছুই ছুইমৈনাক ঘটক , পেশায় মাইনিং  ইঞ্জিনিয়ার ! একদিকে  প্রকিতী র  বিরুধ্যে অসম্ভভ

 সব কাজ , আবার অপর দিকেবকুলের বহু পুরাতন অভিযোগ , প্রায় বিয়ের পর থেকেই। বাসা

পাল্টাবে, বকুলের পছন্দ নয়  জায়গাটা ,আজ সকাল থেকে একটু বাড়াবাড়ি হযে গেল , বেচারা মৈনাক ,

এক দিনের ক্যাজুয়াল টা পুরোটাই মাটি। অগত্য গাড়ি বের করে , দু এক জায়গাতে কযেকটা ফ্ল্যাট

এপার্টমেন্ট দেখিয়ে , সব কটার ডি মেরিটস বের করে বকুলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন , বল কোনটা র ব্যাপারে

কথা বলব! ভাব খানা এমন , যে মনে হয় আজি ফাইনাল করে আসবে সে! খানিক্ষণ চুপ থেকে

 বকুল বলে , একটু বাজারে দাড়াবে , মাছ নেব , ভাত খাবার সময় তো না হলে আজমহাভারত

অশুধ্য  হবে , ইষৎ হেসে ঘাড় নাড়িয়ে সম্মতি জানায় মৈনাক! অভিনয় ছাড়া আর কী!

                   বিকেলে বেশ একটা ভাত ঘুম সেরে হাতে চা এর পেআলা নিয়ে ব্যালকনি আর ঘর

পায়চারী করছিল মৈনাক , চিন্তা তে ছিল শুধু সন্ধ্যে বেলাটা! বকুল তো এক প্রকার রেগেই আছে ,

কী করে ড্রিঙ্কস করা যাবে! হটাত, বিন্তি, নীচ থেকে চেচিয়ে ডাকে , বাবা আমার প্রিন্ট আউট গুলো

 আনতে যাবে না ? ব্যাস , এই তো সুযোগ , কালবিলম্ব না করে বকুল কে ডাক পাড়ে , শোনো ,

 চলো একবার মার্কেট যেতে হবে , বিন্তি র কযেকটা প্রিন্ট আউট নিতে হবে , তোমার কিছু কাজ আছে কী ?
                                                   
                  এই মোখ্যম  দাবাই কাজ করে , উত্তর আসে , চল তাহলে আমিও একটু পার্লার যাব।

সেই কলেজ থেকে প্রেম , তারপর বিয়ে , তবে বিস্তর কাঠখর পুড়িয়ে হযেছিল বিয়েটা। মৈনাক 

জীবনের প্রথম পর্বে  একটা ভালো আই টি কোম্পানি তে কাজ করত , কিন্তু বকুলের মা বেঁকে বসেন ,

 সরকারী চাকরি ছাড়া বিয়ে দেবেন না।

              তারপর অদ্ভুত ভাবে coal ইন্ডিয়া তে চাকরী ও বিয়ে , সেও এক মস্ত উপাখ্যান।

 সেই সময় মৈনাক ,

                        ২৭ শে পা রাখা দৃড় পদখ্যেপ , সদ্য ছাড়া ফুটবল খেলার পেটানো চেহারা , ফর্সা রং

 আর তার সঙ্গে কো এড  ইংলিশ মিডিয়াম থেকে পাস আউট স্মার্টনেস , মোটা  গোঁফ, টিকেলো নাক।

 সেই সময়কার সুন্দরীরা  সঙ্গত কারণেই , বন্ধ্যুত্যের হাত বাড়াতে দ্বিধা বোধ করত না।

অবাক করা কনফিডেন্স এর জন্য ছেলে মহলে লিড রোলেই থাকত , প্রেম বিবাহ তো অনিবার্য্য ছিল। অবশেষে  মৈনাক আর বকুল যুক্তি তর্কে ঘরের

লোকেদের বুঝিয়ে সুন্দর এক arrange ম্যারেজ এর arrangement এ লাগিয়ে ফেলে।

 মৈনাকের কাছে সেটা খুব বড় পদেখ্যেপ ছিল , কারণ চাকরি জীবনের প্রারম্ভেই বিয়ে,

গোছাবার সময় টা সে পায়নি।

                                                         ......................X........................